Main Content

চট্টগ্রাম বিভাগে মোট ১১ টি জেলা রয়েছে। এগুলো হলো:
- বান্দরবান
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- চাঁদপুর
- চট্টগ্রাম
- কুমিল্লা
- কক্সবাজার
- ফেনী
- খাগড়াছড়ি
- লক্ষ্মীপুর
- নোয়াখালী
- রাঙ্গামাটি
১. বান্দরবান জেলাঃ
নামকরণ: বান্দরবান জেলার নামকরণ নিয়ে একটি কিংবদন্তি আছে, এলাকার বাসিন্দাদের মুখে প্রচলিত রূপকথায় অত্র এলাকায় এ সময় অসংখ্য বানর বাস করত। আর এ ই বানরগুলো শহরের প্রবেশ মুখে ছড়ার পাড়ে প্রতিনিয়ত লবণ খেতে আসত। এক সময় অতি বৃষ্টির কারণে ছড়ার পানি বৃদ্ধি পেলে বানরের দল ছড়া পাড় থেকে পাহাড়ে যেতে না পারায় একে অপরকে ধরে সারিবদ্ধভাবে ছড়া পার হয়। বানরের ছড়া পারাপারের এই র্দশ্য ধেকতে পায় এই জনপদের মানুষ। এই সময় থেকে জায়গাটি “ম্যাঅকছি ছড়া” হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। মার্মা ভাষায় ম্যাঅক শব্দটির অর্থ হল বানর আর ছিঃ শব্দটির অর্থ হল বাধঁ। কালের প্রবাহে বাংল ভাষাভাষির সাধারণ উচ্চারণে এই এলাকার নাম বান্দরবান হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। তবে মার্মা ভাষায় বান্দরবানের প্রকৃত নাম “রদ ক্যওচি চিম্রো’।
প্রতিষ্ঠিত সাল: ১৯৮১ সালে।
আয়তন : ৪৪৭৯.০৩ বর্গ কিঃ মিঃ
উপজেলাসমূহ:
- আলিকদম উপজেলা
- থানচি উপজেলা
- নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা
- বান্দরবান সদর উপজেলা
- রুমা উপজেলা
- রোয়াংছড়ি উপজেলা
- লামা উপজেলা
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- তাজিংডং (১২৮০ মিটার); বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ।
- সাকা হাফং (১০৫২ মিটার)
- কেওক্রাডং (৮৮৩ মিটার); জাতীয়ভাবে স্বীকৃত বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ।
- রাইখিয়াং খাল; বাংলাদেশের দীর্ঘতম খাল।
- মেঘলা
- নাফাখুম জলপ্রপাত; বাংলাদেশের বৃহত্তম জলপ্রপাত।
- সাফাখুম জলপ্রপাত
- আমিয়াখুম জলপ্রপাত
- সাতভাইখুম জলপ্রপাত
- বগা লেক
- বুদ্ধ ধাতু জাদি
- জাদিপাই ঝর্ণা
- ডাবল ফলস
- আলীকদম গুহা
- চিম্বুক পাহাড় ও উপজাতীয় গ্রাম
- রেমাক্রী
- শৈলপ্রপাত
- প্রান্তিক লেক
- জীবননগর
- কিয়াচলং লেক
- চিংড়ি ঝর্ণা
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- তাজিংডং (১২৮০ মিটার); বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ।
- সাকা হাফং (১০৫২ মিটার)
- নাফাখুম
- নীলাচল
- নীলগিরি
- বগাকাইন লেক
- শৈলপ্রপাত
- জাদিপাই ঝর্ণা
- রাজবিহার এবং উজানিপাড়া বিহার
- নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র
- সেতুর উপর থেকে সাঙ্গু নদী
- কোনাগমণ বুদ্ধ, বুদ্ধ ধাতু জাদি
- বুদ্ধ ধাতু জাদি মন্দিরের মূল অংশ
- কিয়াচলং লেক
- চিংড়ি ঝর্ণা
আধুনিক স্থাপত্যঃ
পরে জানানো হবে
ওয়েবসাইট:
২. ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলাঃ
নামকরণ: ১৯৮৪ সালে ব্রাক্ষ্মবাড়িয়া জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। তার আগে এটি কুমিল্লা জেলার একটি মহকুমা ছিল। ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার নামকরণের সঠিক ইতিহাস খুঁজে পাইনি, আপনাদের জানা থাকলে দয়া করে জানাবেন।
প্রতিষ্ঠিত সাল: ১৯৮৪ সালে।
আয়তন : ১৯২৭.১১ বর্গ কিঃ মিঃ
উপজেলাসমূহ:
- আশুগঞ্জ উপজেলা
- আখাউড়া উপজেলা
- কসবা উপজেলা
- নবীনগর উপজেলা
- নাসিরনগর উপজেলা
- বাঞ্ছারামপুর উপজেলা
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা
- সরাইল উপজেলা
- বিজয়নগর উপজেলা
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- কালাছড়া চা বাগান অন্য নাম ‘হরিহর টি এস্টেট’ বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কালাছড়া গ্রাম
- আখাউড়া স্থল বন্দর – (বিএসএফ) ও (বিজিবি) এর যৌথ কুচকাওয়াজ ।
- কসবা সীমান্ত হাট – বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হাট ।
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহীদ স্মৃতিসৌধ অবকাশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- সৌধ হিরন্ময়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- কাজী মাহমুদ শাহ(র.) এর মাজার শরীফ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- কালভৈরব মূর্তি (১৯০০ শতাব্দী, উচ্চতা ২৮ ফুট),ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- জামিয়া শারইয়্যাহ সিরাজুল উলূম, সিরাজবাগ, রহিমপুর
- উলচাপাড়া জামে মসজিদ (১৬০০ শতাব্দী),ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভাদুঘর শাহী জামে মসজিদ (১৬৬৩ খ্রীষ্টাব্দ)
- তিতাস নদীর নান্দনিক দৃশ্য,সদর
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু পার্ক,সদর
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ,সদর
- লোকনাথ দীঘি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- অদ্বৈত মল্লবর্মনের বাড়ি,গোকর্ণ ঘাট,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার কোম্পানী লিমিটেড,আশুগঞ্জ
- আশুগঞ্জ পাওয়ার ষ্টেশন কোম্পানী লিঃ
- মেঘনা নদী ও চর সোনারামপুরের নান্দনিক দৃশ্য,আশুগঞ্জ
- শহীদ আব্দুল হালিম রেলওয়ে সেতু,আশুগঞ্জ
- সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতু,আশুগঞ্জ
- রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান ২য় রেলওয়ে সেতু,আশুগঞ্জ
- ভাস্কর্য‘জাগ্রত বাংলা’ সারকারখানা গেইট।
- মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ.পাওয়ার স্টেশন গেইট।
- সম্মুখ সমর,নাটাল মাঠ,আশুগন্জ।
- বঙ্গবন্ধু মুরাল,কাচারী বিথীকা,আশুগঞ্জ বাজার।
- ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মুরাল,ফিরোজ মিয়া সরকারি কলেজ ,আশুগঞ্জ।
- দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার,ফিরোজ মিয়া সরকারি কলেজ, আশুগঞ্জ
- গেছুদারাস্ত(কেল্লাশহীদ) এর মাজার শরীফ,আখাউড়া
- বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের কবর,দরুইন,আখাউড়া
- গঙ্গাসাগর দিঘী- আখাউড়া
- আখাউড়া স্থলবন্দর
- কৈলাঘর দূর্গ (কসবা), কুল্লাপাথর শহীদ স্মৃতিসৌধ,কসবা
- মঈনপুর মসজিদ,কসবা
- আড়িফাইল মসজিদ,সরাইল
- ধরন্তির নান্দনিক দৃশ্য, সরাইল
- সরাইল জামে মসজিদ (১৬৬২)
- আনন্দময়ী কালীমূর্তি,সরাইল
- বাসুদেব মূর্তি,সরাইল
- হাতিরপুল ও ওয়াপদা রেস্ট হাউস,শাহবাজপুর, সরাইল
- বাঁশী হাতে শিবমূর্তি,নবীনগর
- কাইতলা জমিদার বাড়ী,নবীনগর
- রুসুলপুর পুল,নবীনগর
- হরিপুরের জমিদার বাড়ি,নাসিরনগর
- ঘাগুটিয়ার পদ্ম বিল – আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নে অবস্থিত । এখানে ঘাগুটিয়া ও মিনারকুট নামে ২ টি বিল রয়েছে । শরৎকালে যা পদ্ম ফুলে ভরে যায়
- গোকর্ণ নবাব বাড়ি কমপ্লেক্স (সৈয়দ শামসুল হুদার বাড়ি) – নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ গ্রামে অবস্থিত ।
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার লিচু বাগান
- বিজয়নগর উপজেলার লিচু বাগান – এখানকার সবচেয়ে বড় লিচুর বাজার হল আউলিয়া বাজার ও মেরাশানী বাজার ।
- আনন্দ ভুবন -বল্লভপুর শিমরাইলের মহামিলন,রাজার খালের উপর নির্মিত ব্রীজের দু’পাশ।
- নারুই ব্রীজ -নারুই ব্রাহ্মানহাতার তিতাস নদীর উপর নির্মিত ব্রীজের দু’পাশ, যার অপরূপ পরিবেশ দেখার জন্য পর্যটকদের আগমন ঘটে।
- নবীনগর লঞ্চঘাট সংলগ্ন বুড়ি নদীর অপরূপ দৃশ্য
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- আশুগঞ্জ উপজেলার চর সোনারামপুর
- সরাইলের ধরন্তী
- গোকর্ণ নবাব বাড়ি কমপ্লেক্স
- আড়িফাইল মসজিদ
- হাতিরপুল
- হরিপুর জমিদার বাড়ি
- কালভৈরব মূর্তি
- অবকাশ
- ছানামুখী মিষ্ট
আধুনিক স্থাপত্যঃ
পরে জানানো হবে
ওয়েবসাইট:
৩. চাঁদপুর জেলাঃ
নামকরণ: ১৭৭৯ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ শাসনামলে ইংরেজ জরিপকারী মেজর জেমস রেনেল তৎকালনি বাংলার যে মানচিত্র অংকন করেছিলেন তাতে চাঁদপুর নামে এক অখ্যাত জনপদ ছিল। তখন চাঁদপুরের দক্ষিণে নরসিংহপুর নামক ( বর্তমানে যা নদীগর্ভে বিলীন) স্থানে চাঁদপুরের অফিস-আদালত ছিল। পদ্মা ও মেঘনার সঙ্গমস্থল ছিল বতৃমান স্থান থেকে পাওয়া প্রায় ৬০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে। মেঘনা নদীর ভাঙ্গাগড়ার খেলায় এ এলাকা বর্তমানে বিলীন। বার ভূঁইয়াদের আমলে চাঁদপুর অঞ্চল বিক্রমপুরের জমিদার চাঁদরায়ের দখলে ছিল। ঐতিহাসিক জে.এম সেনগুপ্তের মতে চাঁদরায়ের নামানুসারে এ অঞ্চলের নাম চাঁদপুর। কথিত আছে চাঁপুরের (কোড়ালিয়া) পুরিন্দপুর মহল্লার চাঁদ ফকিরের নামানুসারে এ অঞ্চলের নাম চাঁদপুর। কারো কারো মতে, শাহ আহমেদ চাঁদ নামে একজন প্রশাষক দিল্লী থেকে পঞ্চদশ শতকে এখানে এসে একটি নদী বন্দর স্থাপন করেছিলেন। তাঁর নামানুসারে চাঁদপুর।
প্রতিষ্ঠিত সাল: ১৯৮৪ সালে।
আয়তন : ১৭০৪.০৬ বর্গ কিঃ মিঃ
উপজেলাসমূহ:
- চাঁদপুর সদর উপজেলা
- হাজীগঞ্জ উপজেলা
- কচুয়া উপজেলা
- ফরিদগঞ্জ উপজেলা
- মতলব উত্তর উপজেলা
- মতলব দক্ষিণ উপজেলা
- হাইমচর উপজেলা
- শাহরাস্তি উপজেলা
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- বখতিয়ার খান মসজিদ, কচুয়া।
- বড়স্টেশন মোলহেড নদীর মোহনা। (চাঁদপুর সদর)
- জেলা প্রশাসকের বাংলোয় অবস্থিত দুর্লভ জাতের নাগলিঙ্গম গাছ।
- চাঁদপুর জেলার ঐতিহ্যের প্রতীক ইলিশ চত্বর।
- প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ এলাকা।
- মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন মুক্তিযুদ্ধের স্মারক।
- হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ। (৬ষ্ঠ বৃহত্তম)
- হযরত শাহরাস্তি (রঃ) এর মাজার শরীফ।
- রাগৈ মুঘল আমলের ৩ গম্বু মসজিদ।
- সাহাপুর রাজবাড়ি।
- মেঘনা-পদ্মার চর।
- গুরুর চর।
- রূপসা জমিদার বাড়ি।
- কড়ৈতলী জমিদার বাড়ি।
- চৌধুরী বাড়ি।
- বোয়ালিয়া জমিদার বাড়ি।
- বলাখাল জমিদার বাড়ি।
- বড়কুল জমিদার বাড়ি। (ভাগ্যিতা বাড়ি)
- লোহাগড় মঠ।
- তুলাতুলী মঠ।
- নাওড়া মঠ।
- মঠখোলার মঠ।
- পর্তুগীজ দুর্গ, সাহেবগঞ্জ।
- মতলব উত্তরে মোহনপুরে মেঘনা নদীর তীর।
- মনসা মুড়া,কচুয়া উপজেলায় অবস্হিত।
- সাচার রথ, কচুয়া উপজেলার একটি প্রাচীন রথ।
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- অঙ্গীকার স্মৃতিসৌধ।
- রক্তধারা স্মৃতিসৌধ।
- ওনুয়া স্মৃতি ভাস্কর্য।
- ইলিশ চত্বর।
- শপথ চত্বর
- চাঁদপুর চিড়িয়াখানা, সাচার।
- মত্স্য জাদুঘর,চাঁদপুর।
- সরকারী বোটানিকাল গার্ডেন,চাঁদপুর।
- সরকারী শিশু পার্ক।
আধুনিক স্থাপত্যঃ
- ফাইভ স্টার পার্ক।
- চাঁদপুর চিড়িয়াখানা, সাচার।
- ইলিশ চত্বর।
- শপথ চত্বর
ওয়েবসাইট:
৪. চট্টগ্রাম জেলাঃ
নামকরণ: চট্টগ্রামের প্রায় ৪৮ টি নামের খোঁজ পাওয়া যায়। এর মধ্যে রম্যভূমি, চাটিগাঁ, চাতগাও, রোসাং, চিতাগঞ্জ, জাটিগ্রাম ইত্যাদি। চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে, পন্ডিত বার্নোলির মতে, আরবি ‘শ্যাত (খন্ড) অর্থ বদ্বীপ, গাঙ্গ অর্থ গঙ্গা নদী থেকে চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি। অপর এক মতে ত্রয়োদশ শতকে এ অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করতে এসেছিলেন বার জন আউলিয়া। তাঁরা একটি বড় বাতি বা চেরাগ জ্বালিয়ে উঁচু জায়গায় স্থাপন করেছিলেন। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় ‘চাটি’ অর্থ বাতি বা চেরাগ ্এবং গাঁও অর্থ গ্রাম। এ থেকে নাম হয় ”চাটিগাঁও”। এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা স্যার উইলিয়াম জোন্সের মতে, এ এলাকার একটি ক্ষুদ্র পাখির নাম থেকে চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি। ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম মোঘল সম্রাজের অংশ হয়। আরাকানদের পরাজিত করে মোঘল এর নাম রাখেন ইসলামাবাদ। ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে মীর কাশিম আলী খান ইসলামাবাদকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করেন। পরে কোম্পানি এর নাম রাখেন চিটাগাং।
প্রতিষ্ঠিত সাল: ১৬৬৬ সালে।
আয়তন : ৫,২৮৩ বর্গ কিঃ মিঃ
উপজেলাসমূহ:
- আনোয়ারা উপজেলা
- কর্ণফুলি উপজেলা
- চন্দনাইশ উপজেলা
- পটিয়া উপজেলা
- ফটিকছড়ি উপজেলা
- বাঁশখালী উপজেলা
- বোয়ালখালী উপজেলা
- মীরসরাই উপজেলা
- রাউজান উপজেলা
- রাঙ্গুনিয়া উপজেলা
- লোহাগাড়া উপজেলা
- সন্দ্বীপ উপজেলা
- সাতকানিয়া উপজেলা
- সীতাকুণ্ড উপজেলা
- হাটহাজারী উপজেলা
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- চাকমা রাজবাড়ী (রাঙ্গুনিয়া)
- আগুনিয়া চা-বাগান, উত্তর রাঙ্গুনিয়া
- খানখানাবাদ সমুদ্র সৈকত – বাঁশখালী।
- মুসা খাঁ মসজিদ (১৬৫৮)
- কদম মোবারক মসজিদ (১৭১৯)
- ওয়ালী খান মসজিদ (১৭৯০)
- জাতি-তাত্ত্বিক জাদুঘর
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- আগুনিয়া চা-বাগান, উত্তর রাঙ্গুনিয়া
- বাইতুল ইজ্জত এলাকা, বাজালিয়া, সাতকানিয়া।
- চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা
- সন্দ্বীপ সমুদ্র সৈকত
- আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ
- কমনওয়েলথ ওয়ার সেমেট্রি চট্টগ্রাম
- কালুরঘাট
- খিরাম সংরক্ষিত বনাঞ্চল, ফটিকছড়ি
- চন্দ্রনাথ মন্দির, সীতাকুন্ড
- চাঁদপুর-বেলগাঁও চা বাগান, পুকুরিয়া, বাঁশখালী
- নজরুল স্কয়ার
- পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত
- পারকি সমুদ্র সৈকত, আনোয়ারা
- ফয়েজ লেক
- বাটালি পাহাড়
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
- বাংলাদেশ নেভাল একাডেমি
- বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকো-পার্ক, সীতাকুণ্ড
- বাঁশখালী ইকোপার্ক,
- বৌদ্ধ তীর্থ স্থান চক্রশালা পটিয়া
- ভাটিয়ারি গল্ফ ক্লাব
- ভূজপুর সংরক্ষিত বনাঞ্চল, ভূজপুর, ফটিকছড়ি
- মহামুনি বৌদ্ধ বিহার, রাউজান
- মহামায়া সেচ প্রকল্প, মীরসরাই
- মুহুরিগঞ্জ সেচ প্রকল্প, মীরসরাই।
- রাঙ্গুনিয়া কোদালা চা বাগান
- লালদীঘি
- লোহাগাড়া বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, লোহাগাড়া
- বিশ্বশান্তি প্যাগোডা (হাটহাজারী)
- করলডেঙ্গা পাহাড় (বোয়ালখালী)
- হলুদিয়া প্রান্তিক লেক (সাতকানিয়া)
- বাংলাদেশ মেরিন একাডেমী
- বেতাগী পাল আমলের বুদ্ধমূর্তি (রাঙ্গুনিয়া)
- ব্রোঞ্জ মূর্তি (আনোয়ারা)
- আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ
- শেখ বাহার উল্লাহ জামে মসজিদ
- বদর আউলিয়া দরগাহ
- বখশি হামিদ জামে মসজিদ
- ছুটি খাঁ মসজিদ
- হযরত শাহ আমানত (রহ.) মাযার
- বার আউলিয়ার মাযার (সীতাকুণ্ড)
- সীতাকুণ্ড শংকর মঠ
- ধর্মচক্র বৌদ্ধবিহার
- করইয়ানগর ও সোনাকানিয়া বৌদ্ধবিহার
- ভুদ ভুদ ছড়া (পটিয়া)
- কুরা কাঠুনি মসজিদ (পটিয়া, হরিণ খাইন)
- গরম বিবির মাজার
- সি.আর বি
আধুনিক স্থাপত্যঃ
- শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
- শেখ রাসেল অ্যাভিয়েরি পার্ক, রাঙ্গুনিয়া
ওয়েবসাইট:
৫. কুমিল্লা জেলাঃ
নামকরণ: প্রাচীনকালে এটি সমতট জনপদের অন্তর্গত ছিল এবং পরবর্তীতে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের অংশ হয়। কুমিল্লা নামকরণের অনেকগুলো প্রচলিত লোককথা আছে, যার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য চৈনিক পরিব্রাজক ওয়াং চোয়াং কর্তৃক সমতট রাজ্য পরিভ্রমণের বৃত্তান্ত। তাঁর বর্ণনায় কিয়া-মল-ঙ্কিয়া
( Kiamolonkia ) নামক স্থানের বর্ণনা রয়েছে তা থেকে কমলাঙ্ক বা কুমিল্লার নামকরণ হয়েছে। ১৯৬০ সালে কুমিল্লা জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
কুমিল্লা জেলার নামকরনের অন্য একটি ভিন্ন ইতিহাস শুনতে পাওয়া যায় তা হল- হযরত রাস্তিশাহ (রাঃ) নামক এক ওলি ইরাকের বাগদাদ থেকে এসেছিলেন ইসলাম প্রচার করার জন্য, যার নামানুসারে বর্তমান শাহরাস্তি থানার নামকরণ করা হয়েছে। বাগদাদ থেকে উনি যখন রওনা হলেন, তখন তাকে গন্তব্য দেয়া হলো – বর্তমান শাহরাস্তি। তাকে বলা হলো তোমার গন্তব্যস্থান এর পূর্বে সে পাহাড় দেখতে পাবে। পথিমধ্যে উনি যখন বর্তমান কুমিল্লায় পৌঁছেন, তখন তার সফর সঙ্গী কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠেন “কুহু মিলা “। কুহু – মানে পাহাড়, আর মিলা – মানে পেয়েছি বা পাওয়া গেছে। যার অর্থ পাহাড় পেয়েছি। কালের বিবর্তনে – সেই কুহু মিলা, আজ কুমিল্লা।
প্রতিষ্ঠিত সাল: ১৯৬০ সালে।
আয়তন : ৩০৮৭.৩৩ বর্গ কিঃ মিঃ
উপজেলাসমূহ:
- বরুরা উপজেলা
- চান্দিনা উপজেলা
- দাউদকান্দি উপজেলা
- লাকসাম উপজেলা
- ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা
- বুড়িচং উপজেলা
- চৌদ্দগ্রাম উপজেলা
- দেবীদ্বার উপজেলা
- হোমনা উপজেলা
- মুরাদনগর উপজেলা
- লাঙ্গলকোট উপজেলা
- মেঘনা উপজেলা
- তিতাস উপজেলা
- মনোহরগঞ্জ উপজেলা
- কুমিল্লা সদর উপজেলা
- সদর দক্ষিণ উপজেলা
- লালমাই উপজেলা
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- কুমিল্লার শালবন বিহার
- বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি,
- ময়নামতি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও যাদুঘর,
- ধর্মসাগর দীঘি,
- রাজ রাজেশ্বরী কালী বাড়ী,
- অভয় অাশ্রম,
- বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন\
- শাহ সুজা মসজিদ
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- শালবন বিহার,
- আনন্দ বিহার,
- ময়নামতি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও যাদুঘর,
- ময়নামতি ওয়ার সেমেট্রি,
- বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি,
- সতের রত্ন মন্দির,
- ধর্মসাগর নগর উদ্যান,
- রাজ রাজেশ্বরী কালী বাড়ী,
- অভয় অাশ্রম,
- বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন,
- শাহ সুজা মসজিদ,
- ধর্মসাগর দীঘি,
- মহেশ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট
- রূপবানমুড়া,
- চন্ডীমুড়া মন্দির,
- কোটিলা মুড়া,
- ইটাখোলা মুড়া,
- রাণী ময়নামতি প্রাসাদ ও মন্দির,
- আনন্দ বিহার,
- ভোজ রাজার বাড়ী,
- রাজশেপুর ইকোপার্ক,
- রাণীর কুঠি।
- ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ
- কুমিল্লা বিমান বন্দর
- শাহ সুজা মসজিদ
- নজরুল ইন্সটিটিউট
- শ্রীকাইল সরকারি কলেজ
আধুনিক স্থাপত্যঃ
- শাহ সুজা মসজিদ
- রাণীর কুঠি।
নজরুল ইন্সটিটিউট
- বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন
- বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি
- ময়নামতি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও যাদুঘর
- রূপবানমুড়া
ওয়েবসাইট:
৬. কক্সবাজার জেলাঃ
নামকরণ: আরব ব্যবসয়ী ও ধর্ম প্রচারকগণ ৮ম শতকে চট্টগ্রাম ও আকিব বন্দরে আগমন করেন। এই দুই বন্দরের মধ্যবর্তী হওয়ায় কক্সবাজার এলাকা আরবদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসে। নবম শতাব্দীতে কক্সবাজার সহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম হরিকেলার রাজা কান্তিদেব দ্বারা শাসিত হয়। ৯৩০ খ্রিস্টাব্দে আরাকান রাজা সুলাত ইঙ্গ চট্টগ্রাম দখল করে নেবার পর থেকে কক্সবাজার আরাকান রাজ্যের অংশ হয়। ১৭৮৪ সালে রার্মারাজ বোধাপায়া আরাকান দখল করে নেয়। ১৭৯৯ সালে বার্মারাজের হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রায় ১৩ হাজার আরাকনি কক্সবাজার থেকে পালিয়ে যায়। এদর পূনর্বাসন করার জন্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি একজন হিরাম কক্সকে নিয়োগ করে। পূনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষ হবার পূর্বেই হিরাম কক্স মৃত্যু বরণ করেন। পূনর্বাসন প্রক্রিয়ায় তাঁর অবদানের জন্য কক্স-বাজার নামক একটি বাজার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই কক্স-বাজার থেকে কক্সবাজার নামের উৎপত্তি।
প্রতিষ্ঠিত সাল: ১৯৮৪ সালে।
আয়তন : ২৪৯১.৮৬ বর্গ কিঃ মিঃ
উপজেলাসমূহ:
- উখিয়া উপজেলা
- কক্সবাজার সদর উপজেলা
- কুতুবদিয়া উপজেলা
- চকরিয়া উপজেলা
- টেকনাফ উপজেলা
- পেকুয়া উপজেলা
- মহেশখালী উপজেলা
- রামু উপজেলা
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- ফুলছড়ি রেঞ্জ
- ভুমারিয়াঘোনা রেঞ্জ
- মেহেরঘোনা রেঞ্জ
- বাঁকখালী রেঞ্জ
- কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
- শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম
- হিমছড়ি
- ইনানী সমুদ্র সৈকত
- সেন্টমার্টিন দ্বীপ
- ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক
- ছেঁড়া দ্বীপ
- শাহপরীর দ্বীপ
- সোনাদিয়া দ্বীপ
- আদিনাথ মন্দির, মহেশখালী
- শাহ ওমরের সমাধি, চকরিয়া
- মানিকপুরের ফজল কুকের সাতগম্বুজ মসজিদ
- মাথিন কূপ, টেকনাফ
- রামকোট বৌদ্ধ বিহার
- রাখাইন পাড়া
- অগ্গমেধা বৌদ্ধ বিহার
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- ছেঁড়া দ্বীপ
- শাহপরীর দ্বীপ
- সোনাদিয়া দ্বীপ
- ফুলছড়ি রেঞ্জ
- ভুমারিয়াঘোনা রেঞ্জ
- মেহেরঘোনা রেঞ্জ
- বাঁকখালী রেঞ্জ
- কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
আধুনিক স্থাপত্যঃ
- শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম
- রামকোট বৌদ্ধ বিহার
- অগ্গমেধা বৌদ্ধ বিহার
ওয়েবসাইট:
৭. ফেনী জেলাঃ
নামকরণ: ফেনী নদীর নাম অনুসারে এ অঞ্চলের নাম রাখা হয় ফেনী। মধ্যযুগে কবি ও সাহিত্যিকদের কবিতা ও সাহিত্যে একটি বিশেষ নদীর স্রোদধা ও ফেনী পরাপারের ঘাট হিসেবে আমরা ফনী শব্দটি পাই। ষোড়শ শতাব্দীতে কবি কবীন্দ্র পরমেশ্বর পরাগলপুরের বর্ণনায় লিখেছেন, ‘ফনী নদীতে বেষ্টিত চারিধার, পূর্বে মহাগিরি পার পাই তার’। সতের শতকে মির্জা নাথানের ফার্সী ভাষায় রচিত ‘বাহরিস্থান-ই-গায়েরীতে’ ফনী শব্দ ফেনীতে পরিণত হয়। আটারো শতকের ষেষ ভাগে কবি আলী রেজা প্রকাশ কানু ফকির তাঁর পীরের বসতি হাজীগাঁওয়ের অবস্থান সম্পর্কে বর্ণনা দিতে গিয়ে লিখেছেন, ‘ফেনীর দক্ষিণে এক বর উপাম, হাজীগাঁও করিছিল সেই দেশের নাম’। মোহাম্মদ মুকিম তাঁর পৈতৃক বসতির বর্ণনাকালে বলেছেন,”ফেনীর পশ্চিমভঅগে জুগিদিয়া দেশ। বলাবাহুল্য তাঁরাও নদী অর্থে ফেনী শব্দ ব্যবহার করেছেন। মুসলমান কবি-সাহিত্যিকদের ভাষায় আদি শব্দ ‘ফনী’ ফেনীতে পরিণত হয়েছে।
প্রতিষ্ঠিত সাল: ১৯৮৩ সালে।
আয়তন : ৯২৮.৩৪ বর্গ কিঃ মিঃ
উপজেলাসমূহ:
- ফেনী সদর উপজেলা
- দাগনভূঁইয়া উপজেলা
- সোনাগাজী উপজেলা
- ছাগলনাইয়া উপজেলা
- পরশুরাম উপজেলা
- ফুলগাজী উপজেলা
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- কৈয়ারা দীঘি
- চাঁদ গাজী ভুঞার মসজিদ
- চৌধুরী বাগান বাড়ী
- জগন্নাথ কালী মন্দির
- তৃপ্তি এগ্রো পার্ক
- প্রতাপপুর জমিদার বাড়ি
- ফেনী নদী
- বিজয় সিংহ দীঘি
- ভাষা শহীদ সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর
- মুহুরি প্রজেক্ট
- রাজাঝির দীঘি
- শমসের গাজীর কেল্লা
- শিলুয়ার শীল পাথর
- সাত মঠ
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- ফেনীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিস্তম্ভ
- প্রতাপপুর জমিদার বাড়ি
- চৌধুরী বাগান বাড়ী
- ভাষা শহীদ সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর
- শমসের গাজীর কেল্লা
আধুনিক স্থাপত্যঃ
- মহামায়া গণ পাঠাগার
- ফেনী থিয়েটার
- ভাষা শহীদ সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর
ওয়েবসাইট:
৮. খাগড়াছড়ি জেলাঃ
নামকরণ: খাগড়াছড়ি একটি নদীর নাম। নদীর পাড়ে খাগড়া বন থাকায় খাগড়াছড়ি নামে পরিচিতি লাভ করে।
প্রতিষ্ঠিত সাল: ১৯৮৩ সালে।
আয়তন : ২৬৯৯.৫৬ বর্গ কিঃ মিঃ
উপজেলাসমূহ:
- খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা
- দীঘিনালা উপজেলা
- পানছড়ি উপজেলা
- মহালছড়ি উপজেলা
- মাটিরাঙ্গা উপজেলা
- মানিকছড়ি উপজেলা
- রামগড় উপজেলা
- লক্ষীছড়ি উপজেলা
- গুইমারা উপজেলা
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- কেন্দ্রীয় শাহী জামে মসজিদ
- আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র
- আলুটিলা গুহা
- রিছাং ঝর্ণা
- জেলা পরিষদ হর্টিকালচার পার্ক (ঝুলন্ত ব্রীজ)
- মং রাজবাড়ি
- গুইমারা
- পুরাতন চা বাগান
- দেবতার পুকুর
- সিন্ধুকছড়ি পুকুর
- বৌদ্ধ মন্দির
- রামগড় জঙ্গল
- রামগড় পাহাড় ও টিলা
- লক্ষ্মীছড়ি জলপ্রপাত
- স্বার্থক
- শান্তিপুর অরণ্য কুঠির
- বিডিআর স্মৃতিসৌধ, রামগড়
- হাতিমাথা পাহাড়: পাহাড়িরা একে এ্যাডোশিরা মোন বলে।
- পানছড়ি রাবার ড্যাম
- খাগড়াছড়ি গেইট
- তৈদুছড়া ঝর্ণা
- দীঘিনালা ঝুলন্ত ব্রীজ
- মায়াবিনী লেক, ভাইবোনছড়া
- মাটিরাঙ্গা জলপাহাড়
- শতবর্ষী বটগাছ, মাটিরাঙ্গা
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- রিছাং ঝর্ণা
- শান্তিপুর অরণ্য কুঠির
- বিডিআর স্মৃতিসৌধ, রামগড়
- আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র
- আলুটিলা গুহা
আধুনিক স্থাপত্যঃ
- বৌদ্ধ মন্দির
- গণকবর: ১টি
- স্মৃতিফলক: ১টি
- স্মৃতিস্তম্ভ ২টি
- হর্টিকালচার পার্ক
ওয়েবসাইট:
৯. লক্ষ্মীপুর জেলাঃ
নামকরণ: লক্ষ্মীপুর নামকরণ হয়েছে তা নিয়ে কয়েকটি মতপ্রচলিত রয়েছে। লক্ষ্মী, ধন-সম্পদ ও সৌভাগ্যের দেবী (দূর্গা কন্যা ও বিষ্ণু পত্মী) এবং পুর হলো শহর বা নগর। এ হিসাবে লক্ষ্মীপুর এর সাধারণ অর্থ দাঁড়ায় সম্পদ সমৃদ্ধ শহর বা সৌভাগ্যের নগরী। ঐতিহাসিক কৈলাশ চন্দ্র সিংহ ‘রাজমালা’ বা ‘ত্রিপুরা’র ইতিহাস লিখতে গিয়ে তৎকালীন নোয়াখালীর পরগণা ও মহালগুলোর নাম উল্লেখ করেছেন। এতে দেখা যায়, বাঞ্চানগর ও সমসেরাবাদ মৌজার পশ্চিমে ‘লক্ষ্মীপুর’ নামে একটি মৌজা ছিল।
আজকের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর মৌজাই তৎকালীন লক্ষ্মীপুর মৌজা। আবার অন্যমতে, সম্রাট শাহজাহানের পুত্র শাহ সুজা আরাকান পলায়নের সময় ১৬২০ খ্রিস্টাব্দের ৬ মে ঢাক ত্যাগ করেন। তিনি ধাপা ও শ্রীপুর হয়ে ৯ মে ‘লক্ষ্মীদাহ পরগনা’ ত্যাগ করে ভূলুয়া দূর্গের ৮ মাইলের মধ্যে আসেন। ১২ মে ভূলুয়া দূর্গ জয় করতে না পেরে আরাকান চলে যান। সেই লক্ষ্মীদাহ পরগনা থেকে লক্ষ্মীপুর নামকরণ করা হয়েছে বলে কেউ কেউ ধারণ করেন। লক্ষ্মীপুর শহরের পূর্ব পাশে শাহ সুজার নামানুসারে একটি সড়কের নামকরণ করা হয় ‘সুজা বাদশা সড়ক’। বিখ্যাত সাংবাদিক ও সাহিত্যিক সানা উল্লাহ নূরী ‘সুজা বাদশা সড়ক’ নামে একটি ইতিহাস গ্রন্থও রচনা করেছেন।
১৬১৪ খ্রিস্টাব্দে মগ ও ফিরিংগীদের মিলিত বাহিনী ভূলুয়া, ভবানীগঞ্জ ও ইসলামাবাদ আগুন দিয়ে পুড়ে দেয়। স্যার যদুনাথ সরকার এ সংক্রান্ত বর্ণনায় লিখেছেন, ইসলামাবাদ চাটগাঁ শহর নয়। ভূলুয়ার পশ্চিমে একটি দূর্গ সমৃদ্ধ শহর। ঐতিহাসিক ড. বোরাহ ইসলামাবাদকে লক্ষ্মীপুর বলে ধারণা করেছেন। এভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় যে, তৎকালীন লক্ষ্মীপুর মৌজার অংশ মেঘনা পাড়ের দূর্গ সমৃদ্ধ কামানখোলাই ইসলামাবাদ নামের মগ ও ফিরিংগীদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিল। শ্রী সুরেশ চন্দ্রনাথ মুজমদার ‘রাজপুরুষ যোগীবংশ’ নামক গবেষনামূলক গ্রন্থে লিখেছেন দালাল বাজারের জমিদার রাজা গৌর কিশোর রায় চৌধুরী ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী থেকে রাজা উপাধি পেয়েছেন। তাঁর পূর্বপুরুষরা ১৬২৯-১৬৫৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে দালাল বাজার আসেন। তাঁর বংশের প্রথম পুরুষের নাম লক্ষ্মী নারায়ন রায় (বৈষ্ণব) এবং রাজা গৌর কিশোরের স্ত্রীর নাম লক্ষ্মী প্রিয়া। অনেক ঐতিহাসিকের মতে, লক্ষ্মী নারায়ন রায় বা লক্ষ্মী প্রিয়ার নাম অনুসারে লক্ষ্মীপুরের নামকরণ করা হয়।
প্রতিষ্ঠিত সাল: ১৯৮৩ সালে।
আয়তন : ১৪৪০.৩৯ বর্গ কিঃ মিঃ
উপজেলাসমূহ:
- কমলনগর উপজেলা
- রামগঞ্জ উপজেলা
- রামগতি উপজেলা
- রায়পুর উপজেলা
- লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- আলেকজান্ডার মেঘনা বীচ
- শাহ জকি (রা:) মাজার শরীফ
- মেঘনা নদী
- মজুপুর মটকা মসজিদ
- তিতা খাঁ জামে মসজিদ
- শাহাপুর নীল কুঠি
- দালাল বাজার জমিদার বাড়ী
- জ্বীনের মসজিদ
- রায়পুর বড় মসজিদ।
- মান্দারী বড় জামে মসজিদ।
- শ্রীগোবিন্দ মহাপ্রভু আখড়া
- দালাল বাজার মঠ
- দালাল বাজার খোয়াসাগর দিঘী
- কমলা সুন্দরী দীঘি
- রামগঞ্জের শ্রীরামপুর রাজবাড়ী
- মজু চৌধুরীর হাট
- নন্দনপুর ঈদগাহ ময়দান
- শাখারীপাড়ায় শ্রী শ্রী রামঠাকুর আশ্রম
- কমরেড তোয়াহা স্ম<
Comments
No comments yet. Be the first to comment!